সারাদেশে পালিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর

মোট দেখেছে : 87
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন বুধবার জানান, নিয়ম অনুযায়ী ২৯ রমজানে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। কিন্তু এদিন চাঁদ দেখা না গেলে রোজা ৩০টি পালন করতে হয় এবং ৩০ রোজার পরদিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়।

আজ সারাদেশে মুসলমানরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। রাজধানীতে বিভিন্নস্থানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে  মুসল্লীরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আজ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। রাষ্ট্রপতি, বিচারপতিগণ,মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকবৃন্দ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঈদের প্রধান জামাতে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। ২৫ হাজার ৪শ’ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসাথে এবার ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘœ চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।