রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগায় টানা ১৭ মৌসুম অপরাজিত সূচনা

মোট দেখেছে : 54
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

পেনাল্টি গোলে ইতিহাস গড়ল রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার নতুন মৌসুমে পেনাল্টি গোলে জয় পেল রিয়াল মাদ্রিদ। এমবাপ্পের গোলে ইতিহাস গড়ে টানা ১৭ মৌসুমে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকল তারা।

 ভালো ফুটবল খেলেও জয়ের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পেনাল্টি গোলের ওপর। ম্যাচের ৫১ মিনিটে করা সেই গোলেই নিশ্চিত হয় রিয়ালের ১–০ ব্যবধানের জয়। লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি গোলের মাধ্যমে জয় পাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল মাদ্রিদের এই ক্লাবটির।

লা লিগার ইতিহাসে মৌসুম শুরুর ম্যাচে পেনাল্টি গোলে জয়ের ঘটনা আগে চারবার ঘটেছে। ১৯৯০ সালে রিয়াল সোসিয়েদাদ, ২০১৭ সালে লেভান্তে, আর ২০২১ ও ২০২২ সালে ভ্যালেন্সিয়া এই নজির গড়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো রিয়াল মাদ্রিদের নাম।

এ জয়ের মাধ্যমে নিজেদের আগের রেকর্ডও ভেঙেছে রিয়াল। লা লিগার ইতিহাসে টানা ১৭ মৌসুমে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড এখন শুধু তাদেরই দখলে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত। এর আগে সর্বোচ্চ টানা ১৬ মৌসুমে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার কৃতিত্বও ছিল রিয়ালের।

অন্য দলগুলোর মধ্যে আতলেতিকো মাদ্রিদ ১৫ মৌসুম ধরে প্রথম ম্যাচে অপরাজিত, আর বার্সেলোনা (১৯৯৫–২০০৭) ও ভ্যালেন্সিয়া (১৯৪২–১৯৫৪) টানা ১৩ মৌসুম ধরে এই রেকর্ড গড়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদ সর্বশেষ মৌসুম শুরুর ম্যাচে হেরেছিল ২০০৮ সালে, লা করুনিয়ার মাঠে ২–১ গোলে।

১৯৯২ সালের পর এই প্রথম মৌসুমের প্রথম গোল পেনাল্টি থেকে করল রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন মিশেল, যদিও ম্যাচে হেরেছিল তারা। এবার এমবাপ্পের গোল রিয়ালকে এনে দিল জয়।

এর মাধ্যমে রিয়ালের ইতিহাসে নতুন ফরাসি অধ্যায়ও যুক্ত হলো। মৌসুমের প্রথম গোল করা ফরাসি খেলোয়াড়দের তালিকায় করিম বেনজেমার পাশে জায়গা পেলেন এমবাপ্পে। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২১ মৌসুমে প্রথম গোল করেছিলেন বেনজেমা, আর ২০২৫ সালে করলেন এমবাপ্পে।

রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসো ম্যাচ শেষে বলেন, “নতুন খেলোয়াড়েরা দারুণ খেলেছে। সবাই দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। রিয়ালের জার্সির চাপ কারও জন্যই সমস্যা হয়নি।”

১৮তম জন্মদিন উদ্‌যাপন শেষে রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হলো আর্জেন্টাইন তরুণ ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর। আলোনসো তার প্রশংসা করে বলেছেন, “কয়েক মিনিট খেলেও সে দারুণ প্রভাব ফেলেছে, দলের খেলায় অবদান রেখেছে।”