ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি - বার্ষিক সম্মেলন‌ অনুষ্ঠিত

মোট দেখেছে : 496
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে পুনঃ নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ননিগোপাল রায় , সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিধান কুমার সাহা। যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অজয় কুমার রায়।

ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক  সম্মেলন ড. যশোদা জীবন দেবনাথ সিআইপি র সভাপতিত্বে ফরিদপুর শহরের শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে অনুষ্ঠিত  হয়৷ 

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী জে এল ভৌমিক, সহ সভাপতি সাংবাদিক শ্রী বাসুদেব ধর,

 শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ড. ছায়া ভট্টাচার্য, 

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্তী রায় মিহির হাওলাদার, ধ্রুব কুমার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ব্যানার্জি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা, চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালক শ্রী সুবীর চৌধুরী, সদর উপজেলার পূজা কমিটির সভাপতি সিতাংশু মিত্র কিংকর, শহর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকার, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, সুভাষ রায়, শ্যামল কুমার সাহা, প্রবীর কুমার বিশ্বাস, পরিমল চন্দ্র দাস, অনুপ সাহা, রবীন্দ্রনাথ সরকার। স্বপন কুমার সাহা, সঞ্জয় কুমার সাহা।

অনুষ্ঠানে আশীর্বাদক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি শ্রীমৎ কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ননি গোপাল সাহা, শৈলী কর্মকার ও জয় বিশ্বাস

এর আগে বেদ মন্ত্র পাঠ ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের‌ এবং জাতীয় পতাকা ‌ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে  অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। 

আলোচনা সভায় ‌ বক্তারা তাদের বক্তব্যে শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্বার শান্তি কামনা করে আশীর্বাদ করেন৷ বক্তারা বলেন ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সনাতন ধর্মাবলম্বীর উপর একের পর এক হামলা করা হয়েছিলো  এবং অনেকেই দেশ ত্যাগ করতে করতে বাধ্য হয়েছিল।

  স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি  এখন তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীর উপর সাম্প্রদায়িক হামলার পরিকল্পনা করছে৷

 সনাতন ধর্মাবলম্বীর আশ্রয়স্থল বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ এই বাংলাদেশ কোন সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দেশ নয়৷ বক্তারা আরোও বলেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন। তারা বলেন আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শতভাগ মুক্তি যুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক, উদারচিন্তার, কল্যান রাষ্ট্রে পরিনত করার চেষ্টা করছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের যে আস্থা আছে তা ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করবো। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পুজার ছুটি ৩ দিন করার আহ্বান জানান। আমরা আর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করতে চাই না এবং অন্য দেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করবো না কারন স্বাধীন সার্বোভৌম একটি রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ তারই আদর্শের প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধা রেখে আমরা বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে চাই সেটা আগামী জাতীয় নির্বাচনেই হোক তাতেই আমরা প্রমান করে দিবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো নির্বাচনে বিজয়ী করে দেশের ক্ষমতায় আনবো।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচিত হয়েছেন ২০% সনাতন ধর্মাবলম্বীর ভোটে ৷ তারপর স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়েছিলেন।

উক্ত সম্মেলন শেষে বিগত কমিটি বাতিল করে  আগামী দুই বছরের জন্য   কমিটি গঠন করা হয় ‌।

উক্ত কমিটিতে ‌ যশোদা জীবন দেবনাথ কে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ‌ বিধান কুমার সাহা। ১ নং যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন অজয় কুমার রায় এবং সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন ‌ ননীগোপাল রায়।

পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।