ধর্ষন ও পর্ণগ্রাফি মামলায় পলাতক আসামী শাহ আলম গ্রেপ্তার

মোট দেখেছে : 278
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

ধর্ষন ও পর্ণগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী শাহ আলম (৩৭) কে গতকাল রাতে ঢাকার পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শাহ আলম এর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হাসানুজ্জামান আজ সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শাহ আলম বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে গাড়ির ভিতরে ধর্ষন করে ভিডিও চিত্র তার মুঠোফোনে ধারন করে। পরবর্তিতে উক্ত ভিডিও চিত্র দিয়ে ঐ মেয়েকে ভয়ভিতি দিয়ে পুনরায় ধর্ষন করতে চাইলে মেয়েটি বিষয়টি তার স্বজনদের অবগত করে।
তার স্বজনরা জানায়, খোঁজ খবর নিয়ে তারা জানতে পারে যে, উক্ত শাহ আলম ছাত্র জীবনে একটি স্কুলে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করার সময় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরবর্তিতে বিবাহ করতে বাধ্য হয় এবং কিছুদিন পরেই উক্ত ছাত্রীর কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। কিন্তু বিধি বাম! ঢাকায় থাকার সুবাদে শাহ আলমের সঙ্গে সুবাহ নামে আরেক মেয়ের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তিতে সম্পর্ক টেকেনি উক্ত সোবাহর সঙ্গেও এবং শাহআলম স্বভাবসুলভ ভাবেই খুঁজতে থাকে তার নতুন শিকার। পেয়েও যান তার বিশেষ যোগ্যতার কারনে।
বিয়ে করেন খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার জেবাকে। এ ঘরেও জন্ম নেয় এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। এতেই ক্ষান্ত হয়নি শাহ আলম, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হন এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে। নিজেকে শিল্পপতি এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক বলে পরিচয় দিয়ে উক্ত ছাত্রী কে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারন করেন। উক্ত ভিডিও চিত্র দেখিয়ে ঐ কলেজ ছাত্রীকে পুনরায় ধর্ষন করতে চাইলে উক্ত ছাত্রী মামলা দায়ের করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পান এবং দীর্ঘ চেষ্টার পরে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উক্ত শাহআলম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ধূর্ত এবং বদ প্রকৃতির। তারা তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন।
কোতয়ালি থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজান বলেন, উক্ত শাহ আলম মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। আমরা উন্নত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান সনাক্ত করে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।