আল-আকসা মসজিদের অমর্যাদাঃ ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধের মূল কারণ

মোট দেখেছে : 1,018
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

আল্লাহ তাআলা এ পূণ্যভূমিতে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সেখানে রয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসা। সেজন্য ফিলিস্তিন মুসলমানদের কাছে সবসময়ই মর্যাদার, ‍গুরুত্বের ও ভালোবাসার। এ ভূমির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।


আল্লাহ তাআলা এ পূণ্যভূমিতে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সেখানে রয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসা। সেজন্য ফিলিস্তিন মুসলমানদের কাছে সবসময়ই মর্যাদার, ‍গুরুত্বের ও ভালোবাসার। এ ভূমির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’ ইসরায়েলের উপর তাদের আকস্মিক হামলাকে অপারেশন "আল আকসা স্টর্ম" হিসাবে অভিহিত করেছিল। জেরুসালেমের এই আল আকসা মসজিদটি ঐতিহাসিকভাবে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ঘনীভূত হওয়ার একটি কেন্দ্রবিন্দুকে পরিণত হয়েছে।
তবে আল-আকসা মসজিদ শুধুমাত্র মুসলিমদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের কাছেও এর সমান গুরুত্ব রয়েছে। এ বিষয়টিই আল-আকসা মসজিদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, যা ১৯৬৭ সাল থেকে মসজিদ প্রাঙ্গণে বলবৎ রয়েছে এবং সব ধর্মের মানুষের মধ্যে স্থিতাবস্থা বা সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে। এর ফলে আল-আকসা হয়ে ওঠেছে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। কিন্তু আল-আকসায় গত ৫৬ বছর ধরে যে সহাবস্থান চলে আসছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জায়নবাদী ইসরাইল বিশেষ করে দেশটির উগ্রপন্থি একটি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে তা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।
এ যেন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ:
যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমতীরে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যে সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদিদের আক্রমণের শিকার হয়ে।
পশ্চিমতীরের সাধারণ মানুষের ওপর হামলার পাশাপাশি পবিত্র মসজিদ আল-আকসার ইমামের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় শুধুমাত্র গাজায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক আলজাজিরাকে রোববার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭০০ ফিলিস্তিনি। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ।
কোরআনে ফিলিস্তিন ভূমির কথা:
”পরম পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা: বনি ইসরাঈল, আয়াত: ১)”
ইসলামের নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) জেরুসালেমে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছিলেন। কাবা নির্মাণের চল্লিশ বছর পর (খ্রিষ্টপূর্ব ২১৭০) তিনি এটিকে আরও সম্প্রসারণ করেন। যা পরবর্তীকালে ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ নামে পরিচিত হয়। এরপর (খ্রিষ্টপূর্ব ১০০৪) আল্লাহর নবী হযরত সুলাইমান (আ.) জিনদের মাধ্যমে এটিকে আরো সম্প্রসারণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, ফিলিস্তিন এলাকার শাসক ছিলেন তিনি।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,
”আর আমি সুলাইমানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।”
আল্লাহর নবী হযরত সুলাইমান (আ.) কে আল্লাহ পৃথিবীতে বিশেষ রাজত্ব দান করেছিলেন। তার হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ফিলিস্তিন নামক কল্যাণ রাষ্ট্রের
তবে রাসুল (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, কিয়ামতের আগে অবশ্যই এই ইহুদি জাতি মুসলিমদের হাতে পরাজিত হবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস ২৬৩৪৩)।