ঢাকা ট্রাজেডি: কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন, নিহত ৪৬, চিকিৎসাধীন অন্তত ২২ জন

মোট দেখেছে : 1,075
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের “গ্রিন কজি কটেজ” নামে একটি ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইনস্পেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে এছাড়াও দুই ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করার পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

 সোয়া ১টার দিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে সাংবাদিকদেরকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, “আমার ধারণা চুলা থেকে অথবা গ্যাস লিক থেকে আগুন হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় তলা ছাড়া প্রতিটি তলাতে এমনকি সিঁড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। এ জন্য এটা বিপজ্জনক।”

নিচতলায় আগুন লাগার কারণে ভবনটির ওপরের তলাগুলোতে আটকে পড়েন অনেকে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওপর থেকে মানুষ লাফিয়ে পড়ে। সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হন। সিঁড়ি দিয়ে এক সাথে তিন জনের বেশি যাতায়াত করা যেতো না বলেও জানা গেছে।ফায়ার সার্ভিস বলছে, যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগ আগুনে পুড়ে নয়, বরং তারা আসলে ধোয়ার কারণে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

জানা গেছে, মৃতের মধ্যে ৩৩ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং ১০ জনের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা যুক্ত রয়েছেন।সর্বশেষ সকাল সাতটায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া খবরে, স্বজনদের কাছে ২০টি মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে।

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে সংস্থার ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে।