খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ সেনা নিহত, কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা পাকিস্তানের

মোট দেখেছে : 141
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১৯ সেনা নিহত হয়েছেন। গত ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান ও লোয়ার দির এলাকায় একাধিক হামলা ও পাল্টা অভিযানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এসব অভিযানে ৩৫ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছে। পাকিস্তান সরকার এই নাম দিয়ে মূলত নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) বুঝিয়ে থাকে। একই সঙ্গে ভারতের মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে সেনাবাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার বান্নু সফরে গিয়ে নিহত সেনাদের জানাজায় অংশ নেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের ঘাঁটি আফগানিস্তানে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত।

শাহবাজ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেন, “যারা সন্ত্রাসীদের সহায়তা করছে বা ভারতের ছায়ায় থেকে কাজ করছে, তারা পাকিস্তানের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে টিটিপির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতেও বান্নুতে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সেনারা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাকিস্তানকে আরও সমন্বিত কৌশল নিতে হবে। একই সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি জোরদার না করলে সহিংসতা থামানো কঠিন হয়ে পড়বে।