আগামীকাল থেকে সচিবালয়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, প্রবেশপথে তল্লাশি চালাবে প্রশাসন

মোট দেখেছে : 69
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

সরকার আগামীকাল রোববার থেকে সচিবালয়ে একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউস প্লাস্টিক (এসইউপি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করছে। পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া এই উদ্যোগের আওতায় সচিবালয়ের ভেতরে কোনো মন্ত্রণালয়, সভা বা সেমিনারে প্লাস্টিকের বোতল, কাপ, প্লেট, চামচ বা ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা সব মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দর্শনার্থীরা সচিবালয়ে প্রবেশের সময় কেউ যেন প্লাস্টিকের কোনো পণ্য সঙ্গে নিতে না পারেন, সে জন্য প্রবেশপথে কড়া তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। যদি কারও কাছে প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া যায়, তাহলে সেটি বাজেয়াপ্ত করে বিকল্প হিসেবে কাগজের ব্যাগ দেওয়া হবে।

ইতিমধ্যে সচিবালয়ের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বোর্ড ও ব্যানার টানানো হয়েছে। সভা, সেমিনার বা অফিস কার্যক্রমে একবার ব্যবহারযোগ্য বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর পরিবর্তে পাটজাত, কাপড় বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ও পাত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সরকারি কেনাকাটায়ও এখন থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগ এবং নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচিবালয়ের মতো কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হলে সাধারণ মানুষও সচেতন হবে। ধীরে ধীরে সারা দেশে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর ও নভেম্বরে সরকার ধাপে ধাপে সুপারশপ ও কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার ইতিমধ্যে ১৭ ধরনের পণ্যকে ‘সিঙ্গেল ইউস প্লাস্টিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিক বোতল, পাতলা মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক ব্যানার, ক্যাপ ও দাওয়াত কার্ড।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি। সচিবালয় থেকে শুরু করে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে, তবে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমে আসবে।