দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী থাকতে চাইলে আগে নিজেকে বুঝুন, তারপর সঙ্গীকে

মোট দেখেছে : 128
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

বেশির ভাগ সময় আমরা ভেবে থাকি, দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া-বিবাদের জন্য সঙ্গীর দোষই মূল কারণ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক সময় সঙ্গীকে নয় বরং নিজেকে না বুঝতে পারাই কলহের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ঝগড়া এড়াতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন নিজের আচরণ পর্যালোচনা করা। সঙ্গীর প্রতি কেমন ব্যবহার করছেন, কোথায় ভুল করছেন—এসব নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। সমস্যা বুঝে নিজেকে বদলাতে পারলে সম্পর্কও সহজে বদলাবে।

ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি সম্মান জরুরি
দাম্পত্য সম্পর্কে সঙ্গীর স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তা স্পষ্টভাবে বলুন, কিন্তু জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। সম্ভব হলে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্ক টিকে থাকে ছাড় দেওয়ার ওপর, জেদের ওপর নয়।

যেকোনো সিদ্ধান্তে আলোচনার গুরুত্ব
পারিবারিক কিংবা অর্থনৈতিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। নিজের মতামত জানানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাঁর মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া সমান জরুরি। এতে শুধু আস্থা বাড়ে না, সম্পর্কও আরও মজবুত হয়।

সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত দুজনকেই
উপার্জনকারী সব সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ—এই ধারণা একেবারেই ভুল। ঘরে থাকা মানুষও পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেন সমানভাবে। তাই স্বামী–স্ত্রীকে একে অপরের অবদানকে সম্মান জানাতে হবে এবং যতটা সম্ভব একে অপরকে সাহায্য করতে হবে।

আবেগ নয়, বাস্তবতা বোঝা দরকার
সঙ্গীর আবদার মেনে নিতে গিয়ে এমন কিছু করবেন না, যা আপনার সাধ্যের বাইরে। বাস্তবতা পরিষ্কার করে জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিবার নিয়ে কটু কথা নয়
সাময়িক রাগে সঙ্গীর পরিবারকে নিয়ে কটু মন্তব্য সম্পর্ককে বিষিয়ে তোলে। তাই একে অপরের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাই দাম্পত্যের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।