কুমিল্লার এক যুবককে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কুমিল্লায় ১৮ মামলার আসামিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হত্যা !





শনিবার রাত আটটার দিকে নগরের কাটাবিল এলাকার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মহরম হোসেন (৩৫)। তিনি মাদক, হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৮ মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মহরম হোসেন মুরাদপুর এলাকার চারু মিয়ার ছেলে। তিনি শশুরবাড়ি কাটাবিল এলাকার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার এবং দুই সন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অপু নামের যুবক বলেন, তিনি ও মহরম মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। কাটাবিল মসজিদের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ ২০-২৫ জনের একটি দল তাঁদের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তাকে টেনে ফেলে দেয় এবং মোহরমকে চালকের আসনে বসা অবস্থায় ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পাশের একটি দোকানে নিয়ে মহরমকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপু দাবি করেন, মহরম এলাকার মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করতেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে এর আগেও ঝামেলা হয়েছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ভির করেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। কান্নায় ভেঙে পড়েন মহরমের স্ত্রী। তিনি বলেন, খুনিরা তাঁর সংসার শেষ করে দিয়েছে। এখন দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি দিশেহারা।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্তে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে এবং ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।