ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল আশাব্যঞ্জক ও অভূতপূর্ব। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনায় কিছু অসংগতি নজরে এসেছে বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষকরা।
ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ, ব্যবস্থাপনায় কিছু অসংগতি





তাঁদের মতে, পোলিং অফিসার নিয়োগে অস্বচ্ছতা ছিল এবং তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট অনুমোদনেও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এজেন্ট কম অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ এসেছে।
এ ছাড়া তথ্যের ঘাটতি ও সমন্বয়ের অভাব ছিল বলে জানা গেছে। বিপুলসংখ্যক ভোটার সামলাতে পর্যাপ্ত লোকবল মোতায়েন করা হয়নি। ফলে অনেক জায়গায় নির্বাচন পরিচালনাকারীদের অপ্রস্তুত মনে হয়েছে। তবুও শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন, কোনো বড় অঘটন ঘটেনি—এটিই ইতিবাচক দিক।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পোলিং অফিসার নিয়োগে অস্বচ্ছতার কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিন্ন নির্দেশনার অভাবও নির্বাচনের দিনে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে। যেমন—প্রার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন কি না, ভোটাররা ব্যালট নম্বরযুক্ত কাগজ বা স্লিপ নিতে পারবেন কি না, কিংবা ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কী করা যাবে—এসব বিষয়ে কেন্দ্রভেদে ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে।
নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ আরও বাড়তে পারত বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত। বিশেষ করে রোকেয়া হলের ভোটকেন্দ্রে ব্যালট নম্বর–সংবলিত কাগজ বিতরণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। লোকবল কম থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে সমস্যা হয় এবং গুজব ছড়িয়ে পড়ায় মেয়েদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ কমে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মতে, ভোট গণনা এখনো চলছে, তাই ফলাফল নিয়ে মন্তব্যের সময় আসেনি। তবে শিক্ষার্থীদের বিপুল অংশগ্রহণ আশার সঞ্চার করেছে।