পদ্মা চরে অভিযান, কাকন বাহিনীর সদস্যদের ধরতে পুলিশের ১৫০০ সদস্য মোতায়েন

মোট দেখেছে : 161
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

রাজশাহী, পাবনা, নাটোর ও কুষ্টিয়ার পদ্মা চরে ‘কাকন বাহিনী’ দমনে পুলিশের বড় অভিযান শুরু হয়েছে। “অপারেশন ফার্স্ট লাইট” নামে এ অভিযানে ১,৫০০ পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন।

রাজশাহীর বাঘা, পাবনার বেড়া ও ঈশ্বরদী, নাটোরের লালপুর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর—এই পাঁচ জেলার পদ্মা নদীর চরে আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন এই অভিযানে।

রাজশাহী রেঞ্জে পরিচালিত অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন ফার্স্ট লাইট”। এখানে ১,২০০ পুলিশ সদস্য অংশ নিচ্ছেন। খুলনা রেঞ্জের কুষ্টিয়া অংশে ৩০০ পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে চলছে অভিযান, যদিও এটির আলাদা কোনো নাম রাখা হয়নি।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পদ্মার চরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় এই অভিযান শুরু হয়। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্যমতে, ‘কাকন বাহিনী’ নামের একটি সন্ত্রাসী দল চরে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল—গুলি চালানো, হত্যা, বালু ও ফসল লুট, অপহরণ ও চাঁদাবাজি ছিল তাদের প্রধান কাজ।

গত ২৭ অক্টোবর ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে কাকন বাহিনীর গুলিতে তিন কৃষক নিহত হওয়ার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয় এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহজাহান জানান, আজ ভোরে শুরু হওয়া অভিযানে ৫টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাকন বাহিনীর ২১ জন সদস্যকে

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, লালপুরের চর জাজিরা, চর লালপুর ও দিয়াড় বাহাদুরপুর এলাকায় নদী ও স্থলভাগে সমন্বিত অভিযান চালানো হয়। ১৪টি নৌকায় ১০টি দলে বিভক্ত হয়ে পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জব্দ করা অস্ত্র-মালামালের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরেও চলছে সমন্বিত অভিযান। খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) শেখ জয়নুদ্দীনের নেতৃত্বে ভোর ৫টা থেকে পদ্মার চর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চলছে। ড্রোনের মাধ্যমে চরের কাশবন, কলাবাগান ও জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

পুলিশের দাবি, অভিযান চলবে যত দিন না পর্যন্ত চরের সব অপরাধী চক্র পুরোপুরি নির্মূল হয়।