চুল পাকা কি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়? মেলানোসাইট স্টেম সেলের অজানা তথ্য।

মোট দেখেছে : 70
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

চুলের স্বাভাবিক রং বজায় রাখার জন্য মেলানোসাইট স্টেম সেল নামক বিশেষ কোষ দায়ী। জিনগত কারণ বা পরিবেশগত চাপের প্রভাবে যখন এই স্টেম সেলের ডিএনএ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এটি দু'টি ভিন্ন পরিণতির দিকে যেতে পারে

বয়সের সাথে সাথে চুল পেকে যাওয়া (Hair Graying) অথবা মেলানোমা (Melanoma) নামক ত্বকের মারাত্মক ক্যান্সার সৃষ্টি। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, ডিএনএ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই স্টেম সেলগুলির বৃদ্ধি ও বিভাজন স্থায়ীভাবে থেমে যায়। ফলস্বরূপ, চুলের রঙের জন্য দায়ী স্টেম সেলের সংখ্যা কমে যায় এবং চুল পাকতে শুরু করে। এটি আসলে এক ধরণের সুরক্ষার প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত কোষের বিভাজন থেমে যাওয়ায় তা আর অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে না। অন্যদিকে, যদি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির মতো কোনো কারসিনোজেন (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান) থাকে এবং ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন বন্ধ না হয়, তখন স্টেম সেলের সংখ্যা কমবে না, চুলও পাকবে না। কিন্তু এই অস্বাভাবিক বিভাজন চলতে থাকলে তা ধীরে ধীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। সহজ কথায়, চুল পেকে যাওয়া আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করার একটি প্রক্রিয়া।