২০১০ সালে স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর বহু বছর ধরে অপেক্ষায় ছিল নিজের যোগ্যতায় বিশ্বকাপে ফেরার। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো—দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরছে ‘বাফানা বাফানা’।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা!
২০১০ সালে স্বাগতিক হিসেবে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নিজেদের যোগ্যতায় তারা আর সেই আসরে ফিরতে পারেনি। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দেশটি। আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে নাটকীয় এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে তারা। শেষ ম্যাচে রুয়ান্ডাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পেছনে ফেলেছে বেনিন ও নাইজেরিয়াকে। বেনিন শেষ ম্যাচে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় নাইজেরিয়ার বিপক্ষে, যেখানে ভিক্টর ওসিমেন করেন হ্যাটট্রিক। এতে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়ে বেনিন তৃতীয় স্থানে নেমে পড়ে, আর সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগায় দক্ষিণ আফ্রিকা। একই রাতে আফ্রিকার আরও দুই শক্তিশালী দল সেনেগাল ও আইভরি কোস্টও নিজেদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। সেনেগাল ঘরের মাঠে মৌরিতানিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। ম্যাচে সাদিও মানে করেন দুই গোল, বাকিগুলো করেন এনদিয়ায়ে ও দিয়ালো। অপরদিকে আইভরি কোস্ট ৩-০ গোলে হারিয়েছে কেনিয়াকে। দলের হয়ে গোল করেন ফ্রাঙ্ক কেসি, ইয়ান ডিওমান্দে ও আমাদ দিয়ালো। এ জয়ে আফ্রিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আইভরি কোস্ট ১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্যাবন ২৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দিকেই তাকিয়ে আছে। শুধু আফ্রিকাই নয়, এশিয়ার দুই দেশ সৌদি আরব ও কাতারও এবার সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। সৌদি আরব শেষ ম্যাচে ইরাকের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে গ্রুপ ‘বি’-এর শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে, আর কাতার ২-১ গোলে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। আফ্রিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে উঠেছে মোট নয়টি দল—আলজেরিয়া, কেপ ভার্দে, মিসর, ঘানা, আইভরি কোস্ট, মরক্কো, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিসিয়া। রানার্সআপ হিসেবে প্লে-অফে সুযোগ পেয়েছে ক্যামেরুন, ডিআর কঙ্গো, গ্যাবন ও নাইজেরিয়া। বহু বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ায় দেশজুড়ে এখন উচ্ছ্বাসের জোয়ার, আর সমর্থকরা অপেক্ষায় তাদের প্রিয় দলকে আবারও ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে দেখার।
English