প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পথে ‘মোন্থা’, সতর্কতা জারি

মোট দেখেছে : 265
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি বর্তমানে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য আঘাতস্থল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবারের মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোন্থা’, যা থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত নাম। ‘মোন্থা’ শব্দের অর্থ ‘সুগন্ধি ফুল’।

বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)। ২০০৪ সাল থেকে তারা পাঁচটি আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (RSMC) মাধ্যমে সদস্যদেশগুলোর প্রস্তাবিত নামের তালিকা অনুমোদন করে।

বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে WMO/ESCAP Panel on Tropical Cyclones। এই প্যানেলে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ রয়েছে — ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে কয়েকটি শর্ত মানা হয় — নামটি রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারবে না; রূঢ় বা আক্রমণাত্মক শব্দ ব্যবহার করা যাবে না; নামটি সংক্ষিপ্ত, সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং সর্বোচ্চ আট অক্ষরের মধ্যে থাকতে হবে।