ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে ঘাম ঝরাচ্ছে লিটনদের দল

মোট দেখেছে : 185
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ দলের প্রাণবন্ত প্রস্তুতি। টানা চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এবার পঞ্চম শিরোপার লক্ষ্য নিয়েই অনুশীলনে ব্যস্ত লিটন দাসের দল। সোমবার সকালে মাঠে ফিল্ডিং অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা, আর সেই সময় পেস বোলিং কোচ শন টেইট ও স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আলাদা করে আলোচনা করছিলেন উইকেটের চরিত্র নিয়ে।

চট্টগ্রামের ঘাসে ঢাকা উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান তুলতে সুবিধা হলেও বোলারদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জের। তাই দুই বোলিং কোচের আলোচনা মূলত বোলারদের পরিকল্পনা ঘিরেই। কিছুক্ষণ পরই তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। তাঁদের নজর— কীভাবে এই ব্যাটিং সহায়ক পিচে উইকেট তুলে নেওয়া ও রান নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

পরিসংখ্যান বলছে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত হওয়া ১৩০ টি–টোয়েন্টির ২১টিতেই দেখা গেছে দুই শ পেরোনো ইনিংস। বিপিএলের সর্বোচ্চ রানও এসেছে এই মাঠেই। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৪৫ এবং ওভারপ্রতি রান ৮-এর বেশি। বাংলাদেশ দলের বোলাররা তুলনামূলকভাবে ভালো করলেও (ওভারপ্রতি ৬.৯৮ রান), এই মাঠে রান আটকানো কঠিন চ্যালেঞ্জ।

সেই চ্যালেঞ্জের জন্যই ফিল্ডিং অনুশীলনের পরও বোলারদের অতিরিক্ত সেশন। রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা সেন্টার উইকেটে ঘণ্টাখানেক ধরে বোলিং অনুশীলন করেন। ব্যাটসম্যান পরিবর্তন হলেও বোলারদের বিশ্রাম মেলেনি। পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত নির্দেশনা দিচ্ছিলেন টেইট ও মুশতাক।

লিটন দাস মনে করছেন, কঠিন উইকেটে খেলার মাধ্যমেই বোলারদের ধারাবাহিকতা বাড়বে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সহজ উইকেটে খেললে চ্যালেঞ্জ কমে যায়। বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এমন উইকেটই দরকার। বিশ্বকাপের আগে যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে খেলতে চাই আমরা।”

অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ বললেন, “আমাদের জন্য ধারাবাহিকতাই মূল বিষয়। পরিকল্পনা আছে, এখন সেটি মাঠে ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।”

চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজ শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুতি নয়, বরং বোলারদের আত্মবিশ্বাস যাচাইয়ের বড় সুযোগও বটে।